শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন
শ্যামল রুদ্র, রামগড়:
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট(বারি) কর্তৃক উদ্ভাবিত বারো মাসি কাঁঠাল বারি-১,বারি-২ ও বারি-৩ এর পরিচিতি ও মাঠ পর্যায়ে স্থাপিত এ বাগানের মূল্যায়নে খাগড়াছড়ির রামগড়ে কৃষকদের সাথে নিয়ে এক মাঠ দিবস পালিত হয়। উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার মধ্যে খাগড়াছড়ির রামগড়েই প্রথম এ ধরনের বাগান গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হল।
গাজীপুরের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফল বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে মাঠ দিবসে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামগড় পাহাড়ঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো.এমদাদুল হক, রামগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্যামল রুদ্র, সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসাইন ও কোষাধ্যক্ষ শুভাশিস দাশ।
দীর্ঘদিন ধরে কাঁঠাল নিয়ে গবেষণা করা এবং এই প্রকল্পের প্রধান গবেষক গাজীপুরের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফল বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান জানান, উদ্ভাবিত তিনটি জাতের মাধ্যমে সারা বছর ধরেই কাঁঠাল পাওয়া যাবে। মৌসুমের বাইরেও অন্যান্য সময় ধরে উৎপাদিত কাঁঠালও হবে খুব সুস্বাদু। এতে যেমন দেশের লোকজন সারা বছর ধরে কাঁঠালের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন, তেমনি অধিক মূল্যে কাঁঠাল বিক্রি করতে পারবেন। দেশের মানুষের পুষ্টি ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব বাড়াবে কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত কাঁঠালের এ জাতগুলো।